ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি 

জবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্ত:বিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় ফাউল করা নিয়ে দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাথে লোকপ্রশাসন বিভাগের খেলা চলাকালীন এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে দুই বিভাগের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরানীগঞ্জের খেলার মাঠে প্রথম দফায় এবং খেলা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ক্যাম্পাসে ফেরার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খেলা চলাকালীন সময়ে বাংলা বি়ভাগের ৭ নাম্বার জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সাকিব লোকপ্রশাসন বিভাগের মাসুদকে ট্যাকেলের সময় ফাউল হয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে মাসুদ সাকিবকে মারতে উদ্যত হলে বাংলা বিভাগ ও লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় দুই বিভাগের শিক্ষক ও খেলা পরিচালনাকারী মীমাংসা করে দেয়।

পরবর্তীতে খেলা শেষে বাংলা বিভাগের বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে পৌঁছালে লোকপ্রশাসন বিভাগের মাসুদ ও তার বিভাগ ও বাইরের বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাসে উঠে বাংলা বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে ছেলেদের উপর এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এসময় বাসের নারী শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লোকপ্রশাসন বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

অভিযোগ পত্রে মাসুদ বলেন, “খেলা চলাকালীন ৭ নাম্বার জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় আমাকে বাজে ভাবে ট্যাকেল করে আমার সাথে তর্কে জড়ায়। এ অবস্থায় মাঠের বাইরে থাকা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা মাঠের ভিতরে ঢুকে কিল-ঘুষি ও ধাক্কা মারকে থাকে। এদের মধ্যে ১৫ ব্যাচের সামি, তুষার ও ১১ নাম্বার জার্সি পরিহিত খেলোয়াড়রা আমার গায়ে হাত দেয়।”

এদিকে বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পত্রে চেয়ারম্যান বলেন, “আজ কেরানীগঞ্জ নতুন ক্যাম্পাসের মাঠে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা লোকপ্রশাসন বিভাগের খেলোয়ারদের দ্বারা সংগঠিত হলেও তা সেখানেই মীমাংসা করা হয়। কিন্তু খেলা শেষে বাংলা বিভাগ জয়ী হয়ে ঢাকা ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় ক্যাম্পাসের মূল ফটকে বাস আটকে অতর্কিতভাবে রড ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এমনকি ছাত্রীদের অত্যন্ত হীনভাষা ও নোংরা গালিগালাজ করে অপদস্থ করা হয় ও বাস থেকে টেনে হিঁচড়ে নামানো হয়। লোকপ্রশাসন বিভাগের ১২তম ব্যাচের ছাত্র মাসুদ রানার নেতৃত্বে, ১২তম ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র এম আই মারুফসহ আরো অনেকে বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা চালায় এবং এতে বাংলা বিভাগের প্রায় ১৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।”

এবিষয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জয়ী বলেন, “বাস মেইন গেটে আসার পরে একটা ভাই আমাদেরকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে যেতে বলে আর বাসের দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর সামি ভাইকে, জুনাইদ কে উনি মারতে শুরু করে। তারপর বাসের নিচে নিয়ে গিয়েও মারধর শুরু করে।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর দুই বিভাগের পক্ষ থেকেই লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. নিউটন হাওলাদার বলেন, “এ ঘটনায় দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,ফুটবল প্রতিযোগিতা,সংঘর্ষ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত